শহীদ জিয়াকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের কোনো ইতিহাস রচিত হতে পারে না। জিয়াউর রহমান ব্যক্তি নন, একটি প্রতিষ্ঠান – অনিন্দ্য ইসলাম অমিত

শহীদ জিয়াকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের কোনো ইতিহাস রচিত হতে পারে না। জিয়াউর রহমান ব্যক্তি নন, একটি প্রতিষ্ঠান
– অনিন্দ্য ইসলাম অমিত

শহীদ জিয়াকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের কোনো ইতিহাস রচিত হতে পারে না। জিয়াউর রহমান ব্যক্তি নন, একটি প্রতিষ্ঠান

– অনিন্দ্য ইসলাম অমিত

আজ যারা মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নাম ইতিহাস ধেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করছেন, তাঁকে নিয়ে যারা কটাক্ষ করছেন, এ জাতি একদিন তাদের অবশ্যই ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। তিনি বলেন, এদেশের লক্ষকোটি খেটে খাওয়া মানুষের হৃদয়ে জিয়াউর রহমানের নাম রয়েছে। তাই শত চেষ্টা করেও সরকার মানুষের হৃদয় থেকে তাঁর নাম মুছে ফেলতে পারবে না।

শনিবার বিকেলে যশোর আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে জেলা বিএনপি আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় জাদুঘর থেকে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পদক সরিয়ে ফেলার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে যশোর জেলা বিএনপি এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবুর সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন ও সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আজম।

প্রধান অতিথির ভাষণে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, জিয়াউর রহমানকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের কোনো ইতিহাস রচিত হতে পারে না। জিয়াউর রহমান ব্যক্তি নন, একটি প্রতিষ্ঠান। কারণ, দেশের মানুষ মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ জিয়ার ভূমিকা সম্পর্কে জানে। তিনি শুধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে তার দায়িত্ব শেষ করেননি। স্বাধীনতার ঘোষণার পর জনগণকে সাথে নিয়ে তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে রণাঙ্গনে লড়াই করে দেশকে শত্রুমুক্ত করেছিলেন। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ছিলেন দেশের উন্নতির ধারক ও বাহক। তিনি দেশের খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষের জন্য কাজ করেছেন। জাতি যখন স্বাধীনতার জন্য উন্মুখ, রাজনৈতিক নেতৃত্ব যখন দিকভ্রান্ত ঠিক তখনই জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণার মাধ্যমে জনগণকে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য অনুপ্রেরণা করেন। সেদিন জিয়াউর রহমানের ডাকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো মুক্তিকামী বীরজনতা। অথচ আজ জোর করে ক্ষমতায় বসে থাকা এ জুলুমবাজ সরকার ইতিহাস থেকে জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলতে একের পর এক ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।

অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, সরকার বোকার স্বর্গে বাস করছে। সরকার মনে করছে পদক সরিয়ে ফেলে, নাম মুছে ফেললেই মানুষের হৃদয় থেকে জিয়ার নাম মুছে যাবে। এদেশের লক্ষকোটি মানুষ সরকারের এ অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত কখনও মেনে নেবে না। অচিরেই সরকারের এ গণবিরোধী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মানুষ রাজপথে ফুঁসে উঠবে। তিনি নেতাকর্মীদের একে অপরের মধ্যে পারস্পারিক সম্পর্ক বৃদ্ধির মাধ্যমে সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য তৃনমূলে কাজ করার আহবান জানান।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. নুরুন্নবী, জেলা বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আবু তৈয়ব, জেলা যুবদলের সভাপতি এহসানুল হক মুন্না, যুগ্ম সম্পাদক এম তমাল আহমেদ, সহসাধারণ সম্পাদক আনসারুল হক রানা, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সংসদের খুলনা বিভাগীয় সহসভাপতি রবিউল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও নগর শাখার সভাপতি ফারুক হোসেন, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসেন বাবুল ও সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তফা আমীর ফয়সাল প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন, জেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক আলহাজ আনিসুর রহমান মুকুল।