সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির কি লাভ

সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির কি লাভ

লেখক: আলফাজ আনাম
সুত্র: onnodiganta.com
Muktobak24: Saturday, April 11, 2015
ঢাকা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির অংশ নেয়ার বিষয়টি নিয়ে এখন নানামুখী আলোচনা চলছে বিএনপির নেতাকর্মী সমর্থকেরাও বিশ্লেষণ করছেন এই নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক হচ্ছে কি না বিএনপির নেতারা বলছেন, আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে দলটি চট্টগ্রামে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের শরিক দলগুলোও বিএনপির প্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছে এখন এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আন্দোলনে কী গতি অর্জন হয়, তা দেখার অপেক্ষায় আছেন মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীরা মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর দেখা যাচ্ছে, চট্টগ্রামে বিএনপি আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী থাকলেও ঢাকায় বিএনপির একাধিক প্রার্থী মনোনায়নপত্র জমা দিয়েছেন এরমধ্যে ঢাকা উত্তরে বিএনপির একজন নেতা আব্দুল আউয়াল মিন্টুর মনোনায়নপত্র বাতিল হয়েছে দক্ষিনে বাতিল হয়েছে বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন পিন্টুর মনোনায়নপত্র আবার ক্ষমতাসীন দলের একজন করে মেয়র প্রার্থী মনোনায়নপত্র জমা দিলেও কাউন্সিলর পদে একক প্রার্থী দেয়া সম্ভব হয়নি ওয়ার্ড পর্যায়ে একাধিক আওয়ামী লীগের প্রার্থী রয়েছেন নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ যতটা সরব বিএনপি এখন পর্যন্ত ততটাই নীরব বিএনপির এই নীরবতা ক্ষমতাসীন দলের মধ্যে টেনশন বাড়িয়ে দিয়েছে
আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকেরা হয়তো ধারণা করেছিলেন, বিএনপি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে আসবে না প্রকৃতপক্ষে নির্বাচনে অংশ নেয়ার মতো পরিবেশ এখন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন নিশ্চিত করতে পারেনি বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা; যারা মেয়র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তারা সবাই আত্মগোপনে আছেন ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতারা দীর্ঘ দিন পুলিশের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন যারা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন তাদের সবার বিরুদ্ধে কম করে হলেও ১০টি মামলা রয়েছে একটি দৈনিকের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বিএনপি সমর্থক ১১৮ জন প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে ৯৫০টি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে ঢাকা চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আর তাদের মুখপাত্রের বক্তব্যের ভাষা বদলে গেছে তারা প্রতিদিন জানাচ্ছেন তথাকথিত নাশকতার মামলার আসামিরা নির্বাচন করলেও তাদের ছাড় দেয়া হবে না অর্থাৎ বিএনপির সমর্থক প্রার্থীরা যদি নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেয়, তাহলে তাদের গ্রেফতার করা হবে ঠুটো জগন্নাথ নির্বাচন কমিশনের কাছে শত নাগরিক কমিটির নেতারা বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন
নির্বাচন কমিশন তাতে সাড়া দেবে তার কোনো আশা তো দূরে থাক, সম্ভাবনাও নেই বরং বিরোধী দলের প্রার্থীদের ফেরারি ঘোষণা করে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করার শঙ্কা আছে এরমধ্যে নির্বাচন কমিশনার শাহনেওয়াজ বলছেন, নির্বাচনের সময়ে কাউকে গ্রেফতার করতে ইসির কোনো অনুমোদন লাগবে না নির্বাচনের সময় পুরো প্রশাসন নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকে নির্বাচন কমিশনার যখন প্রার্থীদের গ্রেফতার নিয়ে পুলিশের অবস্থানের সমান্তরাল বক্তব্য রাখেন তখন বুঝতে বাকি থাকে না যে নির্বাচনটি কেমন মাত্রায় অংশগ্রহন মুলক হবে এর আগে পুলিশ ্যাবের কমকর্তারা নির্বাচন কমিশনকে পরামর্শ দিয়ে এসেছিলেন এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করার কাকতাল হোক আর পুলিশের পরামর্শে হোক নির্বাচন এপ্রিলের মধ্যে হচ্ছে
এমন পরিস্থিতিতে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত যে কৌশলগত তাতে কোনো সন্দেহ নেই নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দেয়ার মাধ্যমে প্রথম দফায় একতরফাভাবে সরকার সমর্থক প্রার্থীদের জিতে আসার সম্ভাবনা রুদ্ধ হয়েছে তার পরও ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা যে উপজেলা নির্বাচনের মতো জবরদস্তিমূলকভাবে জিতে আসবে না, তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই আমরা দেখছি, ঢাকা উত্তর দক্ষিনের মেয়র পদ প্রার্থীর সংখ্যা ৪২ জন এর মধ্যে বিএনপি সমর্থক প্রার্থী আছেন একাধিক শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় নির্দেশে হয়তো তারা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেবেন তার পরও ঢাকায় ১৫ জন করে মেয়র প্রার্থী নির্বাচনে থেকে যেতে পারেন কাউন্সিলর সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন এক হাজার ৭৭৩ জন এর বেশির ভাগ ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী
নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর এখনো বিএনপি সমর্থক প্রার্থীরা মিছিল সমাবেশ এমনকি তাদের পোস্টার বিলবোর্ডও চোখে পড়ছে না অর্থাৎ তারা বাধাহীনভাবে কোনো প্রচারে অংশ নিতে পারছেন না
মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় বিএনপির একজন প্রার্থী আসাদুজ্জামান রিপন ছাড়া আর কেউ উপস্থিত থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি রিপন ভাগ্যবান আওয়ামী লীগের এই জমানায় তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি বিএনপি সমর্থক ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীদের সমর্থকেরা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় উপস্থিত হতে পারেননি এর মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডারেরা মনোনয়নপত্র ব্যাংকের পে-অর্ডার ছিনিয়ে নেয়ায় ঢাকা দক্ষিণের ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী হাজী মনির প্রার্থী হতে পারেননি ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর সাথে তার প্রতিদ্বন্দিতা হতো নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসবে, হাজী মনিরের মতো একই অবস্থা হবে অন্য অনেক কাউন্সিলর প্রার্থীর
আগেই বলেছি, ক্ষমতাসীন দলের মধ্যে টেনশন বাড়ছে যতটা সহজে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিজয়ী হওয়া যাবে বলে ধারণা করা হয়েছিল, তা আর সম্ভব নাও হতে পারে ক্ষমতাসীন দল আর পুলিশ প্রশাসনের আচরণের মধ্যে এই টেনশনের বহিঃপ্রকাশ ঘটছে এর মধ্যে বিরোধী দল সমর্থিত অনেক কাউন্সিলর প্রার্থী অভিযোগ করেছেন, তাদের বাড়িতে পুলিশ হানা দিচ্ছে ফলে তারা নির্বাচনী এলাকায় থাকতে পারছেন না
নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসবে পুলিশের তৎপরতা আরো বাড়তে থাকবে এমনকি চৌধুরী আলম বা সালাহউদ্দিনের মতো নতুন করে বিএনপি সমর্থক কোনো প্রার্থী গুম হবেন না, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই এমন পরিস্থিতিতে বিএনপির নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণায় স্থির থাকার কোনো অর্থ থাকবে না হয়তো এক সময় পরিস্থিতি তাদের নির্বাচন থেকে সরে আসার ঘোষণা দিতে বাধ্য করবে
বিএনপির সমর্থক প্রার্থীরা নির্বাচনের মাঠে যদি টিকতে নাও পারেন, তাহলেও ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা নিরঙ্কুশ ভোট পেয়ে বিজয়ী হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই ভোটার উপস্থিতি যদি বাড়ে তাহলে রনি-মাহি-সাকি কবরীদের দের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে এমনকি এই প্রার্থীদের সাথে ক্ষমতাসীনদের জবরদস্তি করতে হবে আর যদি উপজেলা নির্বাচনের মতো ভোটের বাক্স আগেই ভরে যায়, তাহলে ভিন্ন কথা
জানুয়ারির নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা যাচাই হয়েছিল ঢাকা চট্টগ্রাম ছাড়া বাকি সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলোতে সেসময় পাঁচটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনের একটিতেও ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা বিজয়ী হতে পারেননি আওয়ামী লীগের নেতারা দাবি করে থাকেন জানুয়ারির নির্বাচনের পর সরকারের জনপ্রিয়তা আরো বেড়েছে আওয়ামী লীগের দাবি বিএনপি সহিংস রাজনীতির মাধ্যমে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে ক্ষমতাসীনদের এবার সুযোগ এসেছে জনপ্রিয়তা যাচাই করার এজন্য সরকার বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলোর কার্যক্রম স্থগিত করতে পারে নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করে জনগণ যাতে ভোট দিয়ে বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করার সুযোগ পায় সে পরিবেশ সৃষ্টি করে দিতে পারে এখন পর্যন্ত সরকার সে পথে কেন হাঁটছে না, সেটাই প্রশ্ন
এক দিকে বিএনপির জনপ্রিয়তা নেই বলে দাবি করা হচ্ছে, আবার বিএনপির ন্যূনতম রাজনৈতিক অধিকার দিতে সরকার ভয় পাচ্ছে ক্ষমতাসীনেরা প্রায়ই বলে থাকেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি নাকি সেফ এক্সিট পেতে পারে খুবই ভালো কথা বিএনপির মতো একটি দল জঙ্গি হয়ে যাচ্ছে নিশ্চয়ই তা সরকারের জন্য খুবই উদ্বেগের কারণ এখন সরকারের ওপর দায়িত্ব বর্তায় বিএনপিকে নির্বাচনের রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনা কিন্তু সে পথে সরকার এবং বশংবদ নির্বাচন কমিশনের কোনো আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না
প্রকৃতপক্ষে বিএনপি নির্বাচনে আসায় সরকার এক ধরনের ফাঁদে পড়েছে
বিএনপি বা আওয়ামী লীগ এতদিন গণতান্ত্রিক আবহের মধ্যে রাজনীতি করেছে আওয়ামী লীগের নেতারা বড়াই করে বলে থাকেন, তাদের কাছে বিএনপির আন্দোলন শিখতে হবে কিন্তু তারা ভুলে গেছেন এরশাদ বা খালেদা জিয়ার সরকারের আমলে যখন মিছিল মিটিং করতেন তখন মিছিলে গুলি চালানো হতো না জিয়াউর রহমান, এরশাদ বেগম জিয়ার শাসনামলেও কোনো আওয়ামী লীগের নেতা গুম হননি আওয়ামী লীগের নেতারা আন্দোলনের নামে চট্টগ্রাম রেল স্টেশন পুড়িয়ে দিয়েছে, ব্যাংকে আগুন দিয়েছে, সচিবালয়ে হাতবোমা নিক্ষেপ অফিসগামী সরকারি কর্মকর্তাকে দিগম্বর করা হলেও কাউকে ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হয়নি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে মাসের পর মাস কারাগারে থাকতে হয়নি রাজনৈতিক কর্মীদের প্রকাশ্য রাস্তায় পায়ে গুলি করে পঙ্গু করা হয়নি গণতান্ত্রিক শাসনের ন্যূনতম উদার পরিবেশের সুযোগ তারা পেয়েছেন এখন সেই পরিবেশ নেই বিরোধী রাজনীতিকে কার্যত নিষিদ্ধ করা হয়েছে এমন পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের নেতারা কতটা সাহসী রাজনীতি করতেন তারা নিজেরা আত্ম সমালোচনা করে দেখতে পারেন ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর তাদের নির্বাক ভূমিকা আরেকবার মনে করতে পারেন
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে ন্যূনতম লিবারেল স্পেস না থাকায় মানুষের মধ্যে এখন ভয় আর আতঙ্কের পরিস্থিতি বিরাজ করছে এমন পরিস্থিতিতে সিটি করপোরেশ নির্বাচনে বিএনপি হারল না জিতল কিংবা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াল তাতে কিছুই যায় আসে না বিএনপির মতো একটি নির্বাচনমুখী দল লিবারেল স্পেসের সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করবে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু ক্ষমতাসীনেরা যদি সে সুযোগ না দেয় তাহলে অস্তিত্ব রক্ষার জন্য আন্দোলনে ফিরে আসতে হবে কারণে বিএনপি নেতৃত্ব আন্দোলনের কর্মসূচি বহাল রেখে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হলে তাতে বিরোধী দলের প্রার্থীরা বিজয়ী হবেন এমন নয় কিন্তু এর ফলে সরকারের ভিত্তি দুর্বল হয়ে পড়বে কারণে সরকার মরিয়া হয়ে উঠবে যেকোনোভাবে হোক সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিজয়ী হতে

অপর দিকে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে যদি নির্বাচনের সময়ও সভা সমাবেশ বা প্রচারণা চালাতে দেয়া না হয়, তাহলে দেশে বিদেশে বিষয়টি আবারো স্পষ্ট হবে যে, সরকার একদলীয় শাসন কায়েমের চূড়ান্ত লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বিরোধী দলকে বাইরে রেখে ঢাকা চট্টগ্রামের মতো মহানগরীর নির্বাচনে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ আরো বাড়তে থাকবে সরকার যদি বিএনপিকে বাইরে ঠেলে দিয়ে নির্বাচনের আয়োজন করে তাহলে খুব কমসংখ্যক মানুষ সে নির্বাচনে অংশ নেবে আর নির্বাচন কমিশনের কাঁধে বন্দুক রেখে জালিয়াতির মাধ্যমে যদি নিজ প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা করে, তাহলে রাজধানীকেন্দ্রিক বিরোধী দলের আন্দোলনে নতুনমাত্রা পেতে পারে সাধারণ মানুষের ক্ষোভকে কাজে লাগাতে পারে

Comments

Social Share Icons

Popular Posts

শীঘ্রই বাংলাদেশও আমাদের হবেঃ পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ

বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন নিয়ে নিউজটি ভুয়া ছিল স্বীকার করতে বাধ্য হলো ডেইলি স্টার

“শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে আজ বড় বেশি মনে পড়ে” - তরিকুল ইসলাম (সাবেক মন্ত্রী)