ভারত- ইসরাইল সর্ম্পক - সুমিত্র মিত্র

ভারত- ইসরাইল সর্ম্পক
ভারত- ইসরাইল সর্ম্পক - সুমিত্র মিত্র
***কোলকাতা থেকে প্রকাশিত দেশ পত্রিকায় সুমিত্র মিত্রের লেখা
দক্ষিন এশিয়ায় ইসরাইলের ঘনিষ্ট মিত্র ভারত কিন্তু এই ঘনিষ্টতা সব সময় প্রকাশ্য নয় ভারতের প্রধান অস্ত্র আমদানিকারক দেশের একটি ইসরাইল দেশটির সাথে রয়েছে ঘনিষ্ট গোয়েন্দা যোগাযোগ গাজায় ইসরাইলি হামলার প্রতিবাদে সারা বিশ্বজুড়ে যখন নিন্দা বিক্ষোভ চলছে তখন ভারতের পার্লামেন্টে ইসরাইলের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব নিতে দেয়নি মোদি সরকার ভারতের বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ভারত-ইসরাইল সৌহার্দ্য সমিতির প্রাক্তন সভানেত্রী
 ‘গাজা স্ট্রিপভূমধ্যসাগরের দক্ষিন কূলবর্তী একটি অতিুদ্র তটরেখা দৈর্ঘ্যে পঁচিশ মাইল, প্রস্থে ছয় থেকে মাইল বিগত তিন সপ্তাহ গাজার নিয়ন্ত্রক হামাস যোদ্ধাদের সঙ্গে ইজরায়েলি সেনাবাহিনীর তীব্র সংঘর্ষে নিহত হয়েছে গাজাবাসী সহস্রাধিক প্যালেস্তিনীয় অধিবাসী, যার এক বিপুল অংশ নিরপরাধ অসহায় নারী, বৃদ্ধ শিশু জঙ্গি সংগঠন হামাস ইজরায়েলের দিকে (২৭ জুলাই) নিক্ষেপ করেছে ২২২১টি ক্ষেপণাস্ত্র এবং ইজরায়েল কামানে-বিমানে গাজায় ২৬৯৭টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে কিন্তু ইজরায়েলের ক্ষতি তুলনামূলক ভাবে সামান্য, যদিও ৪৩ জন ইজরায়েলি সেনা পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে
অবশ্য ইজরায়েল-গাজা সংগ্রামের অন্তর্নিহিত প্রশ্নটি কার দিকে কত মৃতদেহ তা নয়, যদিও জীবনহানির প্রসঙ্গটি সর্বদাই তাৎপর্যপূর্ণ মিশর ইজরায়েলের মধ্যে গাজা যেন জাঁতাকলে পিষ্ট সুপারির মতো তার ওই ছোট্ট পরিসরে বাস করেন ১৮ প্যালেস্তিনীয় ইজরায়েল তাদের লোকদেখানো স্বাতন্ত্র্য দিলেও দেয়নি কোনও স্বাধীনতা না বিমান চলাচলের, না সামুদ্রিক ক্ষেত্রে ব্যবহারের তদুপরি যুদ্ধের পর যুদ্ধ সাম্প্রতিক সংঘর্ষ, যার বাহারি ইজরায়েলি নাম অপারেশন প্রোটেকটিভ এজ ইজরায়েলের বক্তব্য, এই সংঘর্ষের জন্য দায়ী হামাসের জঙ্গিরা, যারা কয়েকজন ইজরায়েলি নাগরিককে হত্যা করেছিল তবে কে আগে সংঘর্ষের সূত্রপাত করেছিল, তা আজ প্রাসঙ্গিক নয় যা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ তা হলো, সত্যিই কি ইজরায়েল একটি প্যালেস্তিনীয় রাষ্ট্র প্রতিবেশী হিসেবে জীবন যাপন করতে পারে?
প্রশ্নটি দ্বিধাগ্রস্ত করেছে সমগ্র পৃথিবীকে, ভারতকেও নব্বইয়ের দশক পর্যন্ত ভারত সোভিয়েতের মিত্র হওয়ার সুবাদে ইজরায়েল নামক একটি দেশের অস্তিত্ব পর্যন্ত স্বীকার করত না তবে সৌভাগ্যবশত ১৯৯৩ সালে কংগ্রেসের স্বাধীনচেতা প্রধানমন্ত্রী পি ভি নরসিংহ রাওয়ের আমলে ইজরায়েল ভারতে কূটনৈতিক স্বীকৃতি পায় সেই থেকে ভারত-ইজরায়েল সম্পর্ক তলে-তলে (দৃষ্টিগোচর হলেই তো বামপন্থীরা গর্জন করবেন) অনেক প্রসারিত হয়েছে ভারত আজ ইজরায়েলি সামরিক অস্ত্র ব্যবসায়ের প্রধানতম খরিদ্দার অস্ত্রশস্ত্র ছাড়া অন্যান্য সামগ্রীর বাণিজ্যে ভারত এখন এশিয়ায় ইজরায়েলের দ্বিতীয় বৃহত্তম অংশীদার কী কংগ্রেস, কী বিজেপি, কী ছোটখাটো আঞ্চলিক দল সর্বত্রই ইজরায়েলের বন্ধুর অভাব নেই বর্তমান বিদেশমন্ত্রী বিজেপি নেত্রী সুষমা স্বরাজ ভারত-ইজরায়েল সৌহার্দ্য সমিতির প্রাক্তন সভানেত্রী অবশ্য শুধু সেটুকুই কারণ নয়, যার জন্য তিনি সম্প্রতি রাজ্যসভায় গাজা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার অনুমতি দিতে অসম্মত হন ইজরায়েল যথার্থই ভারতের বন্ধুরাষ্ট্র ১৯৯৮ সালে অটল বিহারী বাজপেয়ী সরকার পোখরানের দ্বিতীয় পারমাণবিক বিস্ফোরণটি ঘটানোর পর বিশ্বের সমস্ত উন্নত দেশ ভারতের সমালোচনায় মুখর হয় শুধু ইজরায়েল দিয়েছিল নীরবতার মধ্য দিয়ে সমর্থন
তবুও ভারত দ্বিধাগ্রস্ত জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন ইতিমধ্যে ইজরায়েলকে যুদ্ধাপরাধী বলে অভিহিত করার পর তাকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে অপরাধী সাব্যস্ত করে একটি তদন্ত কমিশন গঠনের প্রস্তাব উপস্থাপন করে কমিশনের ৪৭ জন সদস্যের মধ্যে পক্ষে ভোট পড়ে ২৯ বিপক্ষে মাত্র এক সদস্য, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপীয় দেশসমূহ সমেত ১৭ জন সদস্য গরহাজির ছিলেন যেটি কিছুটা আশ্চর্যজনক তা হলো, ভারত কিন্তু ভোট দিয়েছে প্রস্তাবের পক্ষে শুধু তাই নয়, কমিশনের স্থায়ী ভারতীয় সদস্য বঙ্গসন্তান অশোক মুখোপাধ্যায় (ইউপিএ জমানায় নিযুক্ত) তার বক্তৃতায় ইজরায়েল সম্পর্কে বেশ কিছু কটুবাক্য ব্যবহার করেছেন
ইজরায়েল সম্পর্কে ভারতের দ্বিধাগ্রস্ততার প্রশ্নে ফিরে আসছি একটু পরে কিন্তু দেশটির অসহিষ্ণুতায় বিব্রত সকলেই আমেরিকা ইউরোপীয় ইউনিয়ন অবশ্য বলেছে, নিজের সার্বভৌমত্ব রক্ষার সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে ইজরায়েলের হাতে তবুও সব উন্নত দেশেই মানবাধিকার কর্মীরা পথে নেমেছেন ইজরায়েলের বিরুদ্ধে রাস্তায় মিছিল বেরিয়েছে স্পেনে কানাডায় সকলেরই বক্তব্য, ইজরায়েল যুদ্ধাপরাধী আমেরিকা ইজরায়েলকে সমর্থন করলেও গত সপ্তাহে মার্কিন পররাষ্ট্রসচিব জন কেরি কায়রোতে গিয়ে যে-শান্তি প্রস্তাব দিয়েছেন তাতে ইজরায়েল খুবই অসন্তুষ্ট তাদের ইচ্ছা, গাজা যেন কোনওক্রমেই সার্বভৌম অস্তিত্ব অর্জন না করে ইজরায়েল তার নাগরিকদের নিরাপত্তা সম্পর্কে কোনওরকম ঢিলেঢালামি বরদাস্ত করতে প্রস্তুত নয় প্যালেস্তাইন প্রাক-বাংলাদেশ পাকিস্তানের মতো দুটি বিচ্ছিন্ন ভৌগোলিক সত্তায় বিভক্ত, গাজা জর্ডানের নদীর পশ্চিম তট বা ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক তাকে পূর্ণ স্বাধীনতা প্রদানের অর্থই হলো তার নাগরিক নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা কারণ, গাজার নিয়ন্ত্রক হামাস মূলত এক আতঙ্কবাদী সংগঠন কয়েক বছরের মধ্যেই তাদের সংগঠন অস্ত্রশস্ত্র অনেক জোরদার হয়েছে কিছুকাল পরে তারা যে ইজরায়েলের সঙ্গে সমানে-সমানে যুদ্ধ করতে অপারগ হবে তা বলা যায় না ইতিমধ্যেই হামাসের রকেট (যার নকশা সম্ভবত ইরানে তৈরি) পৌঁছেছে ইজরায়েলের ব্যস্ততম শহর তেলআভিভের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে তার জেরে বিমান চলাচল বন্ধ ছিল দুদিন গাজার মাটিতে সুড়ঙ্গ নির্মাণ করে ইজরায়েলে প্রবেশ করে একজন হামাস, অপহরণ করে এক ইজরায়েলি নিরাপত্তারীকে তার প্রত্যর্পণের বিনিময়ে সমর্পণ করা হয় পুরো এক হাজার প্যালেস্তিনীয় বন্দিকে
শক্তিধর সব দেশই এখন বুঝতে পারছে ইজরায়েল প্যালেস্তাইন, এই দুই-এর মধ্যে সহাবস্থান সম্ভব নয় ইজরায়েলের সৃষ্টিটিই জনৈক বাঙালি রাজনীতিবিদের ভাষায় এক ঐতিহাসিক ভ্রান্তি ১৯১৭ সালে অটোমান সাম্রাজ্যের ভূখণ্ড ছিনিয়ে নিয়ে ইজরায়েল সৃষ্টি করেন তদানীন্তন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রসচিব আর্থার ব্যালফোর তিনি বলেন, ওটি হোক ইহুদিদের বাসস্থান তখন থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশ অধিকারেই থেকে যায় ইজরায়েল
সেই সময় ইউরোপের ইহুদি-বিরোধিতা হিটলারের হাতে ৬০ ইহুদির নিধন ইত্যাদি কারণে ইজরায়েলের জনসংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকে                                                                 
কিন্তু ইহুদিদের জন্মহার সচরাচর কম (যেমন ভারতে পার্সিদের) এখন ইজরায়েলে ইহুদি জনসংখ্যার অনুপাত দ্রুত নিম্নমুখী তার ৮০ লক্ষ অধিবাসীর এক পঞ্চমাংশ আরব অপরদিকে গাজা ওয়েস্টব্যাঙ্কের প্যালেস্তিনীয় জনসংখ্যা এখন ৮০ লক্ষ ছাড়িয়ে প্রবল বেগে ঊর্ধমুখী এত সংঘর্ষের ফলে নিরাপত্তাহীনতা থেকে আত্মরক্ষার জন্য ইজরায়েলিদের অনেকেই পাততাড়ি গুটিয়ে বিদেশে আস্তানা নিচ্ছে
অর্থাৎ, ইজরায়েল ভুগছে অস্তিত্বের সংকটে মধ্যপ্রাচ্যে মৌলবাদী আতঙ্কবাদী সংগঠনসমূহ সম্পর্কে ইজরায়েলের গুপ্তচর সংস্থা মোশাদ খুবই ওয়াকিবহাল বলে মনে করা হয় ফলে জেরুজালেমের কর্তারা নিয়তই সন্ত্রস্ত হয়ে লক্ষ করছেন হামাসের সঙ্গে সিরিয়া-ইরাকের চরম আতঙ্কবাদী সংস্থা ইসিস (isis)-এর সহযোগিতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে ইসিস হচ্ছে আল-কায়দার বর্তমান প্রতিনিধি আগের চেয়ে অনেক শিতি, ধূর্ত এবং হয়তো আরো সাহসী ইজরায়েলের বর্তমান গোঁয়ার্তুমি ভবিষ্যৎ সঙ্কট সম্পর্কে বিশ্বনেতৃত্ব অবহিত গোঁয়ার্তুমিকে প্রশ্রয় না দেওয়ার জন্যই আমেরিকা বাদে উন্নত দেশের সব প্রতিনিধিই বিশ্বসংঘের মানবাধিকার কমিশনে প্যালেস্তিনীয় প্রতিনিধিদের রচিত প্রস্তাবে সমর্থন না জানিয়ে শুধু ভোটাভুটির সময়ে অনুপস্থিত থেকেছেন কিন্তু তাঁরা দেখেছেন মধ্যপ্রাচ্যে অশনি সংকেত



এবার ভারতের ভূমিকাটি একবার ফিরে দেখা যাক পাকিস্তান আর পাঁচটি মুসলমান প্রধান দেশ বা চিন, রাশিয়া ব্রাজিলের মতো মার্কিন-বিরোধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভারতের কী প্রয়োজন ছিল ওই একপেশে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেওয়ার? এই লেখকের বক্তব্য, মোটেই এমন নয় যে, জেনিভায় ভারতের প্রতিনিধির উচিত হতো ওই প্রস্তাবের বিপক্ষে হাত তোলা কিন্তু ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকা কি আইনত সঙ্গত ব্যবহার হত না? বিশেষ করে, বিষয়টি যখন এমন দেশকে কেন্দ্র করে, যে আমাদের সেনাবাহিনীকে অন্তত এক প্রজন্ম এগিয়ে দিয়েছে উদার হস্তে উন্নত প্রযুক্তি সরবরাহ করে যেমন মিসাইল, পাইলট-বিহীন উড়োজাহাজ, তাপাঙ্ক অনুযায়ী ক্যামেরা, উচ্চমতাসম্পন্ন অথচ হালকা সাবমেশিন গান এইসব সম্পদ ভারত সংগ্রহ করেছে ইজরায়েল থেকে, আরব দুনিয়া থেকে নয় সেখান থেকে এসেছে শুধু বিভেদকামী শক্তিদের জন্য মাদ্রাসার নামে জিহাদি তৈরি করার কারখানা গড়তে অর্থের বরাত
কেউ কেউ বলছেন, জেনিভায় মুখুজ্যেমশাই আমলাতন্ত্রের প্রতিভূ হয়েই একটি ভুল চাল দিয়েছেন আমলাতন্ত্রের ধর্মই হচ্ছে, চট করে কোনও পরিবর্তন গ্রহণ না করা কথাটি কিন্তু যুক্তিগ্রাহ্য নয় এরই মধ্যে পাকিস্তানে নিযুক্ত প্যালেস্তিনীয় দূত খুবই নোংরাভাবে গাজাকে ভারতীয় কাশ্মীরের সঙ্গে তুলনা করেছেন অথচ রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশনে আমাদের প্রতিনিধির কোনও হেলদোল নেই কেন? নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন এই আশ্বাসের ভিত্তিতে যে, তিনি স্বাধীনতা-উত্তর ভারতের প্রচলিত ধারণাগুলিকে পাল্টে দেবেন আগাপাশতলা ধর্মীয় সংখ্যালঘুকে তোয়াজ করতে বিদেশনীতিকে পণ্য হিসেবে ব্যবহার করবেন না মোদীর পে বেশ সঙ্গত হত যদি তিনি জেনিভায় কড়া বার্তা পাঠাতেন ভারত যেন ইজরায়েল প্যালেস্তাইন কারও পক্ষাবলম্বী না হয় কর্তার ইচ্ছায় কর্ম তিনি চাইলেই মানবাধিকার কমিশনে তাঁর প্রতিনিধিও যথোপযুক্ত ব্যবহার করতেন প্রধানমন্ত্রী নিশ্চয়ই যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করেননি বিশেষ করে, যখন তাঁর বিদেশমন্ত্রী ইজরায়েলের পক্ষ নিয়েই রাজ্যসভায় গাজা সম্পর্কিত প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা বাতিল করে দিয়েছেন
স্বাধীনতার পর সাতষট্টি বছর অতিক্রান্ত হলেও ভারতের বিদেশনীতিতেবন্ধুশত্রুরা পূর্বচিহ্নিত অথচ এক বহুল পরিচিত মত হচ্ছে, কে কখন বন্ধু বা শত্রু তার নিয়ামক হোক জাতীয় স্বার্থ সেই বিচারে মোদী সরকার মানুষকে কিছুটা আশাহত করেছে

তবে এখনও তো সময় আছে প্রচুর দেখা যাক

Comments

Social Share Icons

Popular Posts

শীঘ্রই বাংলাদেশও আমাদের হবেঃ পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ

বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন নিয়ে নিউজটি ভুয়া ছিল স্বীকার করতে বাধ্য হলো ডেইলি স্টার

“শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে আজ বড় বেশি মনে পড়ে” - তরিকুল ইসলাম (সাবেক মন্ত্রী)