খালেদাসহ ৩৮ নেতার বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ীর হত্যা মামলায় চার্জশিট গ্রহণের আদেশ ২৮ জুন
খালেদাসহ ৩৮ নেতার বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ীর হত্যা মামলায় চার্জশিট গ্রহণের আদেশ ২৮ জুন |
Muktobak24 :
শুক্রবার, ২৯ মে, ২০১৫
রাজধানীর
যাত্রাবাড়ীতে বাসে পেট্রোল বোমা
মেরে মানুষ পুড়িয়ে মারার
অভিযোগে দায়ের করা হত্যা
মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা
জিয়াসহ দলের ৩৮ নেতাকর্মীর
বিরুদ্ধে নথিপত্র পর্যালোচনা করে অভিযোগপত্র গ্রহণের
বিষয়ে আদেশের জন্য ২৮
জুন দিন ধার্য করেছেন
আদালত।
বৃহস্পতিবার
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপ-পরিদর্শক
(এসআই) বশির উদ্দিন ঢাকা
মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে
ওই মামলার চার্জশিট উত্থাপন
করলে বিচারক শামসুল আরেফিন
ওই দিন ধার্য করেন।
মামলায়
হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে
পৃথক দু’টি অভিযোগপত্র
দেয়া হয়েছে। এতে
খালেদা জিয়াসহ ৩১ জনকে
পলাতক দেখানো হয়েছে।
রুহুল কবির রিজভীসহ সাতজন
জেলহাজতে রয়েছেন।
আদালতে
খালেদা জিয়াসহ পলাতক ৩১
আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা
হয়। আর
সাক্ষী করা হয় ৮১
জনকে।
চার্জশিটে
উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী
কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ার,
যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী,
বরকত উল্লাহ বুলু, আমান
উল্লাহ আমান, খালেদা জিয়ার
উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, শওকত
মাহমুদ, বিশেষ সহকারী শামসুল
ইসলাম শিমুল বিশ্বাস, প্রেসসচিব
মারুফ কামাল খান, মীর
আবু জাফর শামসুদ্দিন দিদার,
স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক
মীর শরাফত আলী সপু,
বিএনপির ঢাকা মহানগরের সদস্য
সচিব হাবিবুন্নবী খান সোহেল, ছাত্রদলের
সাবেক সভাপতি ও বিএনপি
জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আজিজুল
বারী হেলাল, সাবেক এমপি
সালাহউদ্দিন আহমেদ, তার ছেলে
তানভীর ওরফে রবিন, নবীউল্লাহ
নবী, কাইয়ূম কমিশনার, লতিফ
কমিশনার এবং পেশাজীবী দলের
নেতা সেলিম ভূঁইয়া।
প্রসঙ্গত
২৩ জানুয়ারি রাতে অবরোধ চলাকালে
যাত্রাবাড়ীর কাঠেরপুল এলাকায় গ্লোরি পরিবহনের
যাত্রীবাহী একটি বাসে পেট্রোলবোমা
নিক্ষেপ করা হয়।
এতে বাসের ২৯ যাত্রী
দগ্ধ হন। তাদের
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন
ইউনিটে ভর্তি করা হলে
১ ফেব্রুয়ারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নূর
আলম (৬০) নামে এক
যাত্রী।
ওই
ঘটনায় ২৪ জানুয়ারি বিকেলে
খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি
করে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন
থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই)
কে এম নুরুজ্জামান।
১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা
আইনের ১৫/২৫(ঘ)
ধারায় দায়ের করা মামলায়
পেট্রোলবোমা নিক্ষেপের পরিকল্পনাকারী হিসেবে বিএনপির ১৮
নেতার নাম উল্লেখ করা
হয়। এ
ছাড়া পরিকল্পনা বাস্তবায়নকারী হিসেবে যাত্রাবাড়ী বিএনপির
৫০ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের
মধ্যে সোহাগ ও লিটন
নামে দু’জন গত
১৯ ফেব্রুয়ারি নিজেদের দোষ স্বীকার করে
আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি
দেন।
Comments
Post a Comment