#বাংলাদেশের৮০০কোটিডলারলুট সম্পর্কে মুখ খুলতে চান দেগুইতো
#বাংলাদেশের৮০০কোটিডলারলুট সম্পর্কে মুখ খুলতে চান দেগুইতো |
#বাংলাদেশের৮০০কোটিডলারলুট সম্পর্কে মুখ খুলতে চান দেগুইতো
বাংলাদেশের
৮০০ কোটি ডলার অর্থাৎ৬০০০
কোটি টাকা চুরি সম্পর্কে
সবিস্তারে কথা বলতে চান
আরসিবিসি ব্যাংকের জুপিটার শাখার ম্যানেজার মাইয়া
সান্তোষ দেগুইতো। গত
মঙ্গলবার তিনি সিনেট ব্লু
রিবন কমিটিতে বেশির ভাগ সময়ই
নীরব ছিলেন। কিন্তু
আজ এক্সিকিউটিভ সেশনে তিনি এ
সম্পর্কে যতটুকু জানেন তা
প্রকাশ করতে চান।
কিন্তু সিনেট ব্লু রিবন
কমিটির চেয়ারম্যান সিনেটর তিওফিস্তো গুইঙ্গোনা
তৃতীয় এ বিষয়ে তিনি
প্রথমেই প্যানেলের সদস্যদের কাছে জানতে চাইবেন
যে, তারা কি আরসিবিসি
ব্যাংকের শাখা ম্যানেজার মাইয়া
সান্তোষ দেগুইতোর কথা এ অধিবেশনে
শুনতে চান কিনা।
যদি তারা শুনতে চান
তাহলে হয়তো দেগুইতো তার
বক্তব্য তুলে ধরতে পারবেন। পাশাপাশি
এন্টি মানি লন্ডারিং কাউন্সিল
(এএমএলসি) দেগুইতো ও অন্য চারজনের
বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ
এনেছে। এ
বিষয়ে প্রাথমিক তদন্তে ডিপার্টমেন্ট অব
জাস্টিস (ডিওজে) তলব করেছে
দেগুইতোকে। ফিলিপাইনের
মিডিয়া বলছে, গত মঙ্গলবারের
শুনানির পর এক্সিকিউটিভ সেশনে
দেগুইতো তার বক্তব্য তুলে
ধরুন এমনটা চেয়েছিলেন সিনেটর
গুইঙ্গোনা। কিন্তু
পরে তিনি বলেছেন, মঙ্গলবারের
টানা ৫ ঘন্টার শুনানিতে
বসে থাকতে থাকতে তিনি
ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন।
তাই কমিটির সদস্যরা যদি
সম্মত হন তাহলে দেগুইতো
বক্তব্য রাখতে পারবেন।
মঙ্গলবারের শুনানিতে দেগুইতো সিনেটরদের বেশির ভাগ প্রশ্ন
এড়িয়ে যান। তিনি
বলেছেন, ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিসে তার
বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ এনেছে এএমএলসি। তাই
তিনি ব্লু রিবন কমিটিতে
যে বক্তব্যই দেবেন তা তার
বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হতে পারে। আজকে
যে এক্সিকিউটিভ সেশন বসছে সেখানে
শুধু সিনেটররা ও তাদের অধীনস্ত
স্টাফরা ভিতরে থাকতে পারবেন। ভিতরে
যা আলোচনা হবে তা
গোপনীয় হিসেবে বিবেচ্য হবে। এতে
যেসব সিনেটর উপস্থিত থাকবেন
তার মধ্যে চারজন সিনেটর
গুইঙ্গোনা, রাফ রেকটো, সার্জিও
ওসমেনা তৃতীয় ও জুয়ান
এডগার্ডো আঙ্গারা এরই মধ্যে দেগুইতোর
বক্তব্য শোনার পক্ষে আভাষ
দিয়েছেন। ওসমেনা
বলেছেন, দেগুইতোর প্রতি তার অনেক
প্রশ্ন রয়েছে। এর
মধ্যে যদি একাউন্ট হোল্ডাররা
যথার্থই হয়ে থাকেন তাহলে
কিভাবে নিউ ইয়র্কের ফেডারেল
রিজার্ভ ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ
ব্যাংকের হিসাবের ওই টাকা চুরি
করে চারটি একাউন্টে জমা
হলো তা জানতে চাওয়া
হবে। তিনি
আরও জানতে চাইবেন ব্যবসায়ী
উইলিয়াম সো গোর একাউন্ট
তিনি কেন খুলেছিলেন।
যে একাউন্টের মাধ্যমে চারটি একাউন্টে টাকা
ভাগ হয়। এরই
মধ্যে উইলিয়াম সো গো ওই
একাউন্ট খোলার কথা অস্বীকার
করেছেন। তিনি
উল্টো দায়ী করেছেন দেগুইতোকে। বলেছেন,
দেগুইতোই তার স্বাক্ষর জাল
করে ওই একাউন্ট খুলেছেন। উইলিয়াম
সো গো দাবি করেছেন
ইস্ট ওয়েস্ট ব্যাংকের ফোর্ট
বানিফ্যাসিও শাখা ম্যানেজার এলান
পেনালোসা মধ্যস্থতা করে দেগুইতোর সঙ্গে
তার বৈঠক আয়োজন করেছিলেন
একটি রেস্তোরাঁয়। এ
বিষয়ে এলান পেনালোসার বক্তব্য
শুনতে চান সিনেটর ওসমেনা। আজকের
শুনানিতে তাই পেনালোসাকে তলব
করা হয়েছে। এ
শুনানিতে উপস্থিত থাকার আগ্রহ প্রকাশ
করেছেন ফিলিপাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জন গোমেজ।
কিন্তু সিনেটর ওসমেনা তাকে
সে অনুমতি দেন নি।
Comments
Post a Comment