আন্দোলন মনিটরিং করছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া

আন্দোলন মনিটরিং করছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া

Muktobak24: ঢাকা, বুধবার, ২ জানুয়ারী ২০১৫
আন্দোলন মনিটরিং করছেন খালেদা জিয়া20 Jan, 2015 বিশ দলের চলমান অবরোধ কর্মসূচি নিজেই মনিটরিং করছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এ নিয়ে রাজধানীর গুলশানে নিজ কার্যালয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। চলমান অবরোধ কর্মসূচিকে কিভাবে আরো বেশি বেগবান করা যায়, সে ব্যাপারে দেশের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে আন্দোলনের খোঁজখবরও নিচ্ছেন। গত রোববার মধ্য রাতে পুলিশি বেষ্টনী প্রত্যাহারের পর দলের স্থায়ী কমিটির কয়েকজন সদস্য তার সাথে বৈঠক করেন। ওই দিন জরুরি সংবাদ সম্মেলনে চলমান অবরোধ অব্যাহত রাখার ঘোষণাও দেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
১৬ দিন পর পুলিশি বেষ্টনী প্রত্যাহার করা হলেও আপাতত কার্যালয় থেকে বের হবেন না বেগম খালেদা জিয়া। এ মুহূর্তে কোথাও যাবেন না তিনি। দলটির সিনিয়র নেতারা আশঙ্কা করছেন কার্যালয় থেকে পুলিশি বেষ্টনী প্রত্যাহার করা হলেও প্রকৃতপক্ষে খালেদা জিয়া অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত হননি। তিনি কার্যালয় থেকে বের হলে যেকোনো সময় পুলিশ আবারো কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দেবে। তাকে সেখানে আর প্রবেশ করতে দেবে না। এ ছাড়া জোর করে বাসায় নিয়ে রাখতে পারে বলে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা আশঙ্কা করছেন।
এ দিকে নির্দলীয় সরকারের অধীনে অবিলম্বে জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং দেশব্যাপী গুম, খুন, হত্যা ও যৌথবাহিনীর অভিযান বন্ধের দাবিতে চলমান আন্দোলন আরো বেশি বেগবান করতে শিগগিরই লাগাতার হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা হতে পারে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে। যদিও ঢাকা ও খুলনা বিভাগে আজ থেকে হরতাল শুরু হচ্ছে। এর আগে গত ৩১ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া বলেছিলেন, যে দিন থেকে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করা হবে, সে দিন থেকেই লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করবে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট।
জানা গেছে, খালেদা জিয়া সকালে ফজরের নামাজ পড়ার পর কিছুণ বিভিন্ন ধর্মীয় বইপুস্তক পড়েন। এরপর নাশতা খান। দুপুরের আগ পর্যন্ত খবরের কাগজ ও টেলিভিশনের বিভিন্ন চ্যানেলে খবর দেখে সারা দেশের অবরোধের চিত্র দেখেন। মাঝে মধ্যে হালকা চা পান করেন। দুপুরের পর থেকে রাত পর্যন্ত সরাসরি আন্দোলন মনিটরিং করেন তিনি। দলের সিনিয়র নেতাদের সাথে কথা বলেন, তাদের সারা দেশের নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ করারও নির্দেশনা দেন। প্রয়োজনে নিজেও অনেক তৃণমূল নেতার সাথে কথা বলে তাদের আন্দোলনে উজ্জীবিত করেন। জোট নেতাদের সাথে যোগাযোগ রাখেন তিনি। কোনো নির্দেশনা থাকলে তাও জানান।

গতকাল রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ের পরিবেশ ছিল অন্য রকম। ছিল না পুলিশি নিরাপত্তার কড়াকড়ি, জলকামানের ব্যারিকেড ও জিজ্ঞাসাবাদের বিড়ম্বনা। গুলশান ২ নম্বরের ৮৬ নম্বর সড়কে ৬ নম্বর বাড়িতে খালেদা জিয়ার কার্যালয়। ৩ জানুয়ারি রাত থেকে সেই কার্যালয়টি পুলিশ অবরুদ্ধ করে রাখে। ১৮ জানুয়ারি রাত আড়াইটার দিকে আকস্মিকভাবে অবরুদ্ধ খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় আড়াআড়িভাবে রাখা দু’টি পুলিশভ্যান ও একটি জলকামানের ব্যারিকেড সরিয়ে নেয় পুলিশ। প্রত্যাহার করা হয় কার্যালয়ের সামনে মোতায়েন করা বিপুলসংখ্যক পুলিশ। তবে সাদা পোশাকের গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ের পাশে দেখা গেছে।

Comments

Social Share Icons

Popular Posts

শীঘ্রই বাংলাদেশও আমাদের হবেঃ পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ

বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন নিয়ে নিউজটি ভুয়া ছিল স্বীকার করতে বাধ্য হলো ডেইলি স্টার

“শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে আজ বড় বেশি মনে পড়ে” - তরিকুল ইসলাম (সাবেক মন্ত্রী)