একজন “মুক্তিযোদ্ধার মূল্যায়ন” - সচিবের ‘গলা ধাক্কার অপমান’ সইতে না পেরে মুক্তিযোদ্ধার আত্মহত্যা
একজন “মুক্তিযোদ্ধার মূল্যায়ন”-সচিবের ‘গলা ধাক্কার অপমান’ সইতে না পেরে মুক্তিযোদ্ধার আত্মহত্যা
|
একজন “মুক্তিযোদ্ধার
মূল্যায়ন”
সচিবের
‘গলা ধাক্কার অপমান’ সইতে না
পেরে মুক্তিযোদ্ধার আত্মহত্যা
Wednesday,
July 08, 2015
Muktobak24, ঢাকা: রাজধানীতে
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলা নিবাসী আইয়ুব খান (৬২) নামের
একজন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার(চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা মুক্তিযোদ্ধা
কমান্ডের সদস্যসচিব ছিলেন) বিষ পান
করে আত্মহত্যা করেছেন। ওই
মুক্তিযোদ্ধা মঙ্গলবার সকালে
তোপখানা রোডের কর্ণফুলী হোটেলের
২০৪ নম্বর কক্ষে বিষ
পান করেন।দুপুরে
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
অবস্থায় তিনি মারা যান।
শাহবাগ
থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মামুন ফরাজী
বলেন, সকালে কর্ণফুলী হোটেল
থেকে আইয়ুব খানের বিষ
পান করার বিষয়টি থানায়
জানানো হয়। সকাল
সাড়ে ১০টার দিকে ওই
হোটেল থেকে তাঁকে উদ্ধার
করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আইয়ুব
খান স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ছিলেন বলে জানান
তিনি। কর্ণফুলী
হোটেলের ২০৪ নম্বর কক্ষ
তল্লাশি করে একটি চিরকুট
উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন
তিনি। মৃত্যুর
আগে আইয়ুব খান ঢাকার
জেলা প্রশাসকের বরাবরে চার পৃষ্ঠার
একটি চিঠি লিখেছেন।
তাতে তিনি লিখেছেন, মুক্তিযোদ্ধা
মন্ত্রণালয়ের সচিব এম এ
হান্নান তাঁকে বাসা থেকে
গলা ধাক্কা দিয়ে বের
করে দিয়েছেন। এই
অপমান সইতে না পেরে
তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
পুলিশ জানায়, ঢাকার জেলা প্রশাসক বরাবর লেখা চিঠিতে আইয়ুব খান লিখেছেন, ‘চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ইউনিট কমান্ড ঘোষণার জন্য এম এ হান্নান, সচিব মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়কে মাছ, শুঁটকি ও টাকা দেওয়ার পর দক্ষিণ জেলা ইউনিট কমান্ড ঘোষণা করার জন্য বারবার আবেদন করার পর ঘোষণা না করলে সচিবের বাসায় আমার দেওয়া টাকা ফেরত চাইলে আমাকে গলা ধাক্কা দিয়ে বাসা হতে অপমানিত করে বাহির করে দেওয়ায় আত্মহত্যা করিলাম এবং আমার লাশটা ঢাকায় দাফন করার জন্য আবেদন।’চিঠিতে আইয়ুব খানের নামে সিল ও সই রয়েছে। এতে গতকাল সোমবারের (০৬.০৭. ১৫) তারিখ দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ
ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়,
মঙ্গলবার সকালে তোপখানা রোডের কর্ণফুলী হোটেল থেকে আইয়ুব খানের বিষ
পানের খবর জানানো হলে পুলিশ কর্ণফুলী হোটেল থেকে তাঁকে
উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল
কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
হাসপাতালের ৭০২ নম্বর কক্ষে
তাঁকে ভর্তি করা হয়। দুপুর
১২টার দিকে তিনি মারা
যান। ময়নাতদন্ত
শেষে তাঁর লাশ হাসপাতালের
মর্গে রাখা হয়।
পরে কর্ণফুলী হোটেলের ২০৪ নম্বর কক্ষে
তল্লাশি চালায় পুলিশ।
এ সময় সেখান থেকে
তাঁর লেখা চার পৃষ্ঠার
ওই চিঠি উদ্ধার করা
হয়।
Comments
Post a Comment