বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে তল্লাসীর আগেই সরকারের গোপন উদ্ধার তালিকা ফাসঁ
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে তল্লাসীর আগেই সরকারের গোপন উদ্ধার তালিকা ফাসঁ |
বিএনপি
চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার
কার্যালয়ে তল্লাসীর আগেই সরকারের গোপন
উদ্ধার তালিকা ফাসঁ
Muktobak24: 3 march 2015
গুলশান
কার্যালয়ে আদালতের আদেশে তল্লাশীর নামে
বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে চরিত্র হননের প্রাসাদ
ষড়যন্ত্রের নতুন নাটক মঞ্চস্থ
করছে সরকার,এমন গুঞ্জন
এখন পুলিশ আর র্যাবের
কর্মকর্তাদের মুখে। তল্লাসির
আগেই উদ্ধার তালিকায় কী
কী থাকবে সেসব দিয়ে
সিজার লিষ্টও তৈরী করে
দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়। স্বরাষ্ট্র
মন্ত্রনালয় সুত্র নিউজ বিডিসেভেনকে
এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সাজানো
অভিযান চালিয়ে উদ্ধার দেখানো
হচ্ছে অস্ত্র সহ নানা
বিতর্ক উসকে দেবার মত
কিছু পন্য। বিএনপি
চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার
কার্যালয়ে তল্লাশীর নামে সেই ১/১১ র মতো
বাইরে থেকে মদের বোতল
নিয়ে ভেতর থেকে উদ্ধার
দেখানোর পুরনো নাটক নতুন
করে মঞ্চস্থ না করার দাবি
উঠেছে।
উল্লেখ্য,
খালেদা জিয়াকে অবৈধ, অমানবিক,
অশালীন এবং অসভ্যভাবে তার
চার দশকের বাড়ি থেকে
বহিষ্কার করা হয়েছিল।
তারপরে তার চরিত্র হনন
কর্মসূচি বাস্তবায়নে আওয়ামী সরকার কয়েক
দিন ব্যাপী মিডিয়া ক্যামপেইন
চালিয়ে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় যে
তিনি সেখানে বিলাসী জীবন
যাপন করতেন। বাস্তবটা
ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। খালেদা
জিয়া শৈশবকাল থেকে উচ্চ মধ্যবিত্ত
ঘরে মানুষ হয়েছিলেন (যেটা
তার প্রতিপক্ষ হননি) এবং তার
ফলে বড় বাড়ি ও
বিলাসসামগ্রী বিষয়ে তার আগ্রহ
কখনোই ছিল না।
ওই চরিত্র হনন প্রপাগান্ডায়
দেখানো হয়েছিল খালেদার বাড়ির
ফৃজ থেকে রেড এবং
হোয়াইট ওয়াইনের দুটি বটল পাওয়া
গিয়েছে। যারা
ওয়াইন খান তারা জানেন,
সাধারণত হোয়াইট ওয়াইন ঠাণ্ডা
খাওয়া হয় এবং তাই
সেটা খোলার আগে কিছুক্ষণ
ফৃজে রেখে অল্প ঠাণ্ডা
অর্থাৎ চিলড (ঈযরষষবফ) করে
সার্ভ করা হয়।
আর রেড ওয়াইন খাবার
আগে কর্ক খুলে রুম
টেমপারেচারে রাখা হয় এবং
কখনোই ঠাণ্ডা খাওয়া হয়
না। সাংবাদিক
শফিক রেহমানের লেখা থেকে ওয়াইন
প্রসঙ্গে একটু তথ্য দিলাম
এই জন্য যে কিছুক্ষনের
মধ্যে যদি খালেদাকে তার
অফিস এবং বর্তমান আবাসস্থল
থেকে আবারও উচ্ছেদ করা
হয় তাহলে পাঠকরা অবশ্যই
যেন সেকেন্ড রাউন্ড চরিত্র হনন
সম্পর্কে প্রস্তুত থাকেন। এখানে
পাঠকদের মনে পড়বে, পল্টনে
বিএনপির কার্যালয়ে গোপালিশ বাহিনীর হামলার পরে সেখানে
কম্পিউটার ধ্বংস করা হয়েছিল
এবং তাজা বোমা পাওয়ার
দাবি করা হয়েছিল।
সুতরাং অ আ বাহিনী
আবারও যদি উচ্ছেদ কর্মকাণ্ডে
লিপ্ত হয় তাহলে গুলশান
অফিসের কম্পিউটার ধ্বংস করা হতে
পারে এবং বোমাও পাওয়া
যেতে পারে। আওয়ামী
প্রচারণা প্রতিভা হয়তো আবিষ্কার করবে
জঙ্গি বিএনপির গুলশান অফিসের ছাদে
নিউক্লিয়ার রকেট এবং ড্রোন
এয়ারক্রাফট রেডি ছিল।
আমি অ আ উচ্ছেদ
বাহিনীকে উপদেশ দেব তারা
যেন ওভারকিল না করেন।
ওয়াইন বটলের মতো ভুলের
পুনরাবৃত্তি না করেন ককটেল
বোমা অথবা পেট্রলবোমার পরিবর্তে
অতি উৎসাহী উচ্ছেদ বাহিনী
যেন গুলশান অফিসে পারমাণবিক
ক্ষেপণাস্ত্র সম্ভার ড্রোন বা
রকেটলঞ্চার স্টক না দেখিয়ে
দেয়। আর
হ্যা, ওয়াইন বটল রাখলে,
এবার শস্তা অস্ট্রেলিয়ান ওয়াইন
না রেখে দামি ফ্রেঞ্চ
ওয়াইন, মার্লো (রেড) এবং শাবলি
(হোয়াইট) রাখবেন। তাতে
অ আ বাহিনীর পরিচালকদের
শিক্ষা ও রুচিবোধ জানা
যাবে। এদিকে
গুলশান কার্যালয় তল্লাশির আগে পুলিশ সদস্যদের
তল্লাশিসহ আইনজীবীদের উপস্থিত রাখার দাবি জানিয়েছেন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার
উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন।
রোববার
সন্ধ্যায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে
তিনি এ দাবি জানান।
তল্লাশির
এই আদেশকে সরকারের ষড়যন্ত্রের
অংশ অভিযোগ করে তিনি
বলেন, তল্লাশির নামে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে
পুলিশ বিস্ফোরক রেখে খালেদা জিয়ার
ভাবমূর্তি ক্ষুণেœর চেষ্টা
এবং হয়রানি করতে পারে। তল্লাশিতে
গুলশান কার্যালয়ে গ্রেডেনসহ অনেক কিছু পাওয়া
গেছে বলে দেখানো হতে
পারে। এ
তল্লাশিতে যেন সরকারের কোনো
অপকৌশল না থাকে সে
বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে।
এরআগে
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার
গুলশান কার্যালয়ের তল্লাশির চালানোর জন্য পুলিশকে নির্দেশ
দেন ঢাকার সিএমএম আদালত। গুলশান
থানার একটি মামলায় রোববার
বিকেলে এ নির্দেশ দেওয়া
হয়।
খালেদার
কার্যালয়ে খাবার না দিতে
দেবার বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি
কলামিষ্ট ও বরেন্য লেখক
শফিক রেহমান লিখেছেন, ‘তোমাদের
ভাতে মারবো, পানিতে মারবো’
৭ মার্চ ১৯৭১-এর
শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণের এই অংশটি
৪৪ বছর পরে বাস্তবায়িত
করতে প্রতিজ্ঞ হয়েছে তার অনুসারীরা
– তবে পাকবাহিনীকে মারতে নয় – বাঙালিদের
মারতে।বাংলাদেশে
একদলীয় শাসন দূরীকরণ এবং
বহুদলীয় শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করার
লক্ষ্যে একটি সুষ্ঠু ও
স্বচ্ছ সর্বদলীয় সাধারণ নির্বাচনের দাবিতে
ম্যাডাম খালেদা জিয়া যে
আন্দোলন শুরু করেছেন তারই
ধারাবাহিকতায় ৩ জানুয়ারি ২০১৫
থেকে তিনি ও তার
সহকর্মী সহযোদ্ধারা গুলশানের ৮৬ নাম্বার রোডের
৬ নাম্বার বাড়িতে অবরুদ্ধ থাকার
হাফ সেঞ্চুরি বা ৫০ দিন
পূর্ণ করেছেন রাত ৮.২৫, ২১ ফেব্রুয়ারি
২০১৫-তে। আর
তার ফলে ২০১৫-র
২০ ফেব্রুয়ারি দিবাগত মাঝ রাতে
খালেদা জিয়া যেতে পারেননি
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন
করতে।
Comments
Post a Comment